আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার গুরুত্ব মাস্সআলা সম্পর্কে জেনে নিই
আল্লাহর প্রতি এরূপ ঈমান আনবে যে, তিনি চির বিদ্যমান,তিনি একক, তিনি
কারো মুখাপেক্ষী নন । সকালেই তার মুখাপেক্ষী। তিনি কারো থেকে জন্মগ্রহণ করেন
নাই ।কেউ তার সমকক্ষ ও শরীক নাই।
তিনি চিরকাল আছেন এবং চিরকাল
থাকবেন। তিনি সর্বশক্তিমান তিনি দয়াশীল ও দয়াময় তিনি যা ইচ্ছা
তাই করেন জগতের সব কিছুই তার ইচ্ছাই হচ্ছে তিনি সবকিছু দেখেন জানেন
সবকিছু শোনেন তিনি সমস্ত জগৎকে মানুষ ও মানুষের কাছে কার্যাবলীকে
প্রস্তুত গুণাবলী কে সৃষ্টি করেছেন তার
আদেশ ছাড়া কেউ তার কাজ করতে পারে না বিশ্বাসী ব্যক্তির পূর্ণ জীবন আল্লাহর
হুকুমের অধীনে হয়ে যায়
পোস্ট সূচিপত্র ঃ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার গুরুত্ব মাস্স আলা সম্পর্কে জেনে নিই
- ফেরেস্তার প্রতি ঈমান
- কিতাবের প্রতি ঈমান
- নবী -রাসূলগণের প্রতি ঈমান
- পরকালের প্রতি ঈমান আনা
- তকদীরেরে প্রতি ঈমান
- কিয়ামত ও পুনজীবিত হওয়ার প্রতি ঈমান
- আমাদের শেষ কথা
ফেরেস্তার প্রতি ঈমান
ফেরেশতাগণের প্রতি এরূপ ঈমান আনবে যে, তাঁরা আল্লাহর সৃষ্টি জগৎসমূহের মধ্যে
একটি জগত।
তারা নূরের তৈরি তাঁরা ইচ্ছা অনুসারে বিভিন্ন রূপ ধারণ করতে পারেন তারা নারী নন
পুরুষ ও নন তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা পরিচালনার নানাবিধ কাজে নিয়োগ করে রেখেছেন
তারা কখনো আল্লাহর হুকুম অমান্য করেন না তাদের আমরা দেখি না বলে তাদের
অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে পারিনা কারণ আমাদের কোন জিনিস না দেখা না জানা তা না
হওয়ার কারণ হতে পারে না এ পানি ও বাতাসের মধ্যে অনেক জীবাণু রয়েছে আমরা
সেগুলি দেখতে পাই না কিন্তু যন্ত্রের সাহায্য দেখি যখন -যন্ত্রের আবিষ্কার হয়
নাই তখন কি তারা ছিল না দুইশত বা আড়াইশত বছর পূর্ব পর্যন্ত আমরা কোন গ্যাসের
সন্ধান পাই নাই তাই বলে কি গ্যাস ছিল না এতদ্ ভিন্ন কোরআন হাদিসে যখন তাদের
উল্লেখ রয়েছে -কুরআন হাদিস মানার পর তাদের প্রতি আত্মবিশ্বাসের কোন প্রশ্নই
উঠতে পারে না
কিতাবের প্রতি ঈমান
আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে তার নবীগণের মারফতে তার বান্দাদেরকে
তার অনুমোদিত জীবন বিধানের প্রতি হেদায়েত করার জন্য যে
হিদায়েতনামা পাঠিয়েছেন তার নাম কিতাব কিতাবের প্রতি এরূপ
ঈমান আনবে যে এ সকল কিতাবে যা কিছু ছিল তা সত্য এবং আপন যুগের
জন্য সম্পূর্ণ অতঃপর কিতাব ধারীগণ কর্তৃক তা বিকৃত হয়ে গেছে
অথবা কোন দুর্ঘটনায় বিনষ্ট হয়ে গেছে অথবা সভ্যতার ক্রম
বিকাশের ফলে উহার যুগ শেষ হয়ে গেছে এবং আল্লাহ তায়ালা
উহার স্থলে নতুন কিতাব সংস্করণ প্রেরণ করেছে এরূপ
কিতাবের সংখ্যা অনেক এর মধ্যে চারটি কিতাব প্রধান। হযরত মুসা
(আঃ)-এর তৈরিত, হযরত দাউদ (আঃ) এর যবুর, হযরত ঈসা (আঃ)-এর
ইঞ্জিল এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এর
কুরআন । কোরআন সমস্ত কিতাবের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ কিতাব। এরপর
আর কোন কিতাব আসবেনা এতে পরবর্তী সমস্ত কিতাবের সত্য সমূহ এবং ভবিষ্যতে
মানব জীবনের সমস্যা বলি সমাধানের লক্ষে আবশ্যক সূত্রসমূহ
সন্নিবেশিত রয়েছে ।
অতঃএব, কোরআন তার পূর্বেকার সমস্ত কিতাবকে মন সুখ রহিত করে দিয়েছেন অতঃপর
কুরআনের অনুসরণ করা ব্যতীত কারো ও পক্ষে আল্লাহর মনোনীত পন্থা লাভ করা
সম্ভব নহে। কোরআনের পূর্বেকার কিতাব সমূহের মধ্যে কোনটি কোন বিশেষ
গো েএর, কোনটি কোন বিশেষ অভি ও কিতাব সহকারে পিরিত হয়েছে
স্থানের এবং কোনটি কোন বিশেষ যুগের জন্য প্রেরিত
হয়েছিল আর কোরআন প্রেরিত হয়েছে বিশ্ব সভ্যতা গড়ে ওঠার সারা
বিশ্বের জন্য কিয়ামত অবদি কালের জন্য কোরাল হযরত মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর যেভাবে যে পরিমাণ নাযিল হয়েছে তা
আমাদের মধ্যে বিদ্যমান আছে ।
নবী -রাসূলগণের প্রতি ঈমান
রাসূল শব্দের অর্থ প্রেরিত শরীয়তের অর্থ যিনি আল্লাহর বান্দাদের
হেদায়েতের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী ও কিতাব সহকারে প্রেরিত
হয়েছেন । নবী অর্থ সংবাদদাতা শরীয়তের এর
অর্থ যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে আল্লাহর বান্দাদেরকে কিতাব
ব্যতীত ওহীর মাধ্যমে হেদায়েত করেছেন নবী রাসূলগণের প্রতি এ রূপ
ঈমান যে আনবে যে আল্লাহ তা আলা তার বান্দাদের হেদায়েতের
অর্থাৎ তাদের জীবন যাপনের ব্যাপারে আল্লাহর মনোনীত পন্থা
বাতলাবার এবং উহা হাতে কলমে তালিম দিবার জন্য যুগে যুগে বহু নবী ও
রাসূল পাঠিয়েছে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের
মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসুল তার পর আর কোন নবী বা রাসূল আসবেনা
এমনকি ছায়া নবি নহে সকল নবী গুনাহ থেকে পবিত্র ছিলেন এবং আদর্শ জীবনযাপন করে
গিয়েছেন।
নবী রাসুলগনের সঠিক সংখ্যা জানা নাই কোরআনের মাত্র ২৫ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে
এক হাদিসে নবী ও রাসূলগণের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৪ হাজার বার বলা হয়েছে এদের মধ্যে
৩১৫ জন ছিলেন রাসুল
পরকালের প্রতি ঈমান আনা
পরকাল অর্থ যেখানে মৃত্যুর পর থেকে যে কাল আরম্ভ হয় সে কালকে বুঝাচ্ছে । পরকালে
বিশ্বাস এরূপ করবে যে সেকাল সম্পর্কে কোরআন হাদিস আমাদের কে যে সকল সংবাদ দিয়েছে
তা সত্য । যথা কবরে মুনকার নাকিরের প্রশ্ন হবে তথায় মানুষ
শান্তি বা অশান্তি ভোগ করবে অতঃপর কিয়ামত কায়েম হবে হাশরের মাঠে মানুষকে
একত্রিত করা হবে তথায় আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের ভালো-মন্দের বিচার করবেন
বিচারান্তে কাউকে বেহেশতে আর কাউকে দোযখে প্রেরণ করবেন ইত্যাদি । মানুষ যখন
এ বিশ্বাস করে যে সে দুনিয়াতে ভালো মন্দ নয় ও অন্যায় যা কিছু করছে তার জন্য
একদিন তাকে আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে তখন তার চরিত্র সংশোধন না হয়েও পারে
না কখনো পক্ষান্তরে যখন মানুষ এ কথা মনে করতে পারবে যে সে যা করছে এর জন্য তাকে
কারো নিকট জবাব দিবি করতে হবে না তখনই তার জীবন হয়ে পড়বে বেসামাল ও
দায়িত্বহীন তার পক্ষে যে কোন অন্যায় কাজ করতে আর বাধা থাকে না বিবেক কতজনকে
বাধা দিতে পারে আর এরূপ বিবেক নিয়ে কত জন বা জন্মগ্রহণ করেছেন কোরআন ও
হাদিসের শেষ দিনের বিশ্বাসের প্রতি এত অধিক জোর দেওয়ার এটাও একটি
বিশেষ কারণ কোরআনের বহু জায়গায় আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের সাথেই শেষ দিনের
বিশ্বাসকে বিশ্বাসকে যোগ করে দেওয়া হয়েছে
তকদীরেরে প্রতি ঈমান
তকদীরেরে উপর ঈমান রাখতে হবে অর্থাৎ মনে অটল বিশ্বাস রাখতে
হবে যে সমস্ত বিশ্বজগতের যা কিছু হয় ভালো বা মন্দ আল্লাহ তা'আলা প্রথম
থেকে জানেন এবং যেমন জানেন তেমনিই হয় তার ব্যতিক্রম হয় না
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনই সৃষ্টিকর্তা নাই তার ক্ষমতা সর্বব্যাপী তার ক্ষমতা
ছিন্ন করে বাইরে দাঁড়াতে পারে এমন কেউ নেয় তিনি সবকিছু সঠিক রূপে
জানেন এই তিনটি আকীদার আকিদার সমষ্টি তকদিরের সার খেয়ে না বুঝে যে তিনটি
গুন যদি আল্লাহর মধ্যে না থাকে তবে আল্লাহর জন্য মহা কলঙ্ক অথচ আল্লাহ সর্ব
কলঙ্ক বিমুক্ত অধুনা অনেকে বুঝতে না পেরে তকদিরের বিশ্বাস না রেখে ঈমান
হারাচ্ছে নিশ্চিতভাবে বলছে আল্লাহ যদি সব লিখে রেখে থাকেন তবে আবার পাপ পুণ্য বা
কেন তারা চিন্তা করে দেখে না যে আল্লাহর যদি পূর্বের সব কিছু জেনে রেখে থাকেন এবং
জেনে লিখে থাকেন তবে তাতে আমাদের কি আমরা তো আর সে লিখা দেখি নাই তিনি লিখেছেন
তাতে আমাদের শক্তি তো আরো লোক পাই নাই আমাদের তিনি ভালো মন্দ বোঝার এবং করার
শক্তি দান করেছেন এবং ভালো করার মন্দ না করার আদেশ করেছেন তিনি কি লিখে রেখেছেন
সে ভাবনায় আমাদের কি কাজ তার পর্যন্ত শক্তির ব্যবহার করলে আদেশ লংঘন করলে
নিশ্চয়ই তার জবাবদিহি করতে হবে এ শক্তির অপব্যবহার এবং আদেশ কারণে শাস্তি
আল্লাহর অনুমোদিত কাজ করার পূর্বে বিশ্বাস রাখতে হবে না কিছু ওয়াজিব নয় তিনি যা
দান করেন সব তার রহমত ও নেয়ামত মাত্র তার উপর কারো কোন রূপ দাবি
বা হুকুম চলে না ।
কিয়ামত ও পুনজীবিত হওয়ার প্রতি ঈমান
আল্লাহ এবং রাসূল কোরআন এবং হাদিসে কিয়ামতের যতগুলো আলামত বর্ণনা করেছেন তা
নিশ্চয়ই ঘটবে ইমাম মাহাদী সালাম জাহের হবেন তিনি জাহের হয়ে অতি
ন্যায় পরায়ণ ও তার সাথে বাছাই করবেন কানা দাজ্জাল এসে অনেক কিছু ফেতনা
ফাসাদ করবে তাকে হত্যা করার জন্য ঈসা আ (আঃ) সমান হতে অবতীর্ণ হবেন এবং তাকে
হত্যা করবেন অতি শক্তিশালী মানুষ তারা এসে সমস্ত দুনিয়াতে ছড়িয়ে
পড়বে ওরে আল্লাহর গজবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে এক আশ্চর্য জানোয়ার পৃথিবীতে
বের হবে এবং মানুষের সাথে কথা বলবে পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদয় হবে কোরআন শরীফ
উঠে যাবে তারপর কতক দিনের মধ্যে সমস্ত মুসলমান মরে যাবে এবং সমগ্র দুনিয়া
কাফেরদের দ্বারা ভরে যাবে এরূপ আরও অনেক কিছু ঘটবে যখন সমস্ত আলামত পুরা হয়ে
যাবে তখন কেয়ামত আয়োজন হবে ইসরাফিল (আঃ) সিঙ্গায় ফু দিবেন তারপর সমস্ত
জমিন আসমান চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে এবং শুধু আল্লাহর হুকুমে কয়েকটি জিনিস
ছাড়া সমস্ত জীব জন্তু মরে যাবে যারা পূর্বে মরে গিয়েছিল তাদের রুহ বেহুশ হয়ে
যাবে অনেকদিন এরূপ অবস্থায় অবিবাহিত হবে তারপর আবার যখন আল্লাহ তায়ালা
সমস্ত আমলকে পয়দা করার পূন্য ইচ্ছা করবেন তখন আবার ইসরাফিল (আঃ) সিঙ্গার ফু
দিবেন ফলে আবার সমস্ত আমল জীবিত হবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত মৃত লোক পণ্য
জীবিত হয়ে কিয়ামতের মাঠে একত্রিত হবে সূর্যও নিকটে আসবে লোকের ভয়ানক কষ্ট হবে
কারো হাঁটু পর্যন্ত কারো কোমর পর্যন্ত ঘাম হবে সে কষ্ট সহ্য করতে
পারবেনা কিন্তু আল্লাহর কাছে কেউ সুপারিশ করতে সাহস পাবে না কেয়ামতের
মাঠে তখন তাদের বিচার কার্যক্রম শুরু হবে তাদের নেকি বদির ওজন পরিমাণ করে তাদের
হিসাব করা হবে
আমাদের শেষ কথা
আমরা মুসলমান আমাদেরকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে দুনিয়াতে আমরা
রয়েছি খুব অল্প সময়ের জন্য আজকে আমরা জানলাম আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার গুরুত্ব
মাসআলা সম্পর্কে পৃথিবীতে আমরা কেউ চিরস্থায়ী নয় আমাদেরকে একদিন মরতেই হবে
আজকের আর্টিকেল করে অনেক উপকৃত হয়েছেন আশা করি সকলে ভাল থাকবেন আসসালামু
আলাইকুম
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url