নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
আমাদের আশেপাশে অনেক প্রাকৃতিক গাছ রয়েছে তার মধ্যে একটি কার্যকরী গাছ হল নিমপাতা এই নিম পাতা গাছ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি হয় যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এই নিম
পাতার গাছ যদি আমাদের আশেপাশে থাকে তাহলে জীবাণুমুক্ত থাকে এবং পরিবেশটা অনেক ভালো থাকে আজকে আমরা জানবো নিম পাতার উপকার ও অপকারিতা সম্পর্কে নিম পাতার গাছ আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আজকে আমরা জানব নিম পাতার গুরুত্ব সম্পর্কে। তাহলে চলুন আমরা জেনে নিই নিচের এই পোস্টগুলো সম্পর্কে ।
পোস্ট সূচিপত্র নিম পাতার উপকার ও অপকারিতা
- ডায়াবেটিস রোগীর জন্য নিমপাতা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ
- নিম পাতার রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে জেনে নেই
- মুখের জন্য নিম পাতা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ
- নিম পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
- নিম পাতা অতিরিক্ত ব্যবহারে ক্ষতিকর
- হার্টের রোগীর জন্য নিম পাতা খাওয়াকতটুকু গুরুত্বপূর্ণ
- নিম পাতা চুলকানির ব্যবহার
- নিম পাতার গাছ নিয়ে আমাদের শেষ কথা
আমাদের বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় নিমপাতার গাছ
রয়েছে এই নিম পাতার গাছ গুলো দিয়ে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি
হয় এই নিমপাতা দিয়ে মানুষের বিভিন্ন রোগ ভালো হয়ে থাকে
এই নিম পাতার
গাছ প্রাচীন উপমহাদেশ ভারতের প্রায় ছয় থেকে চার হাজার বছর আগে থেকেই
এই ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিতি পায় এই নিম পাতার গাছ শরীরের জন্য খুবই উপকারী
শরীরের রোগব্যাধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম কার্যকারীতে ভূমিকা রাখে এই নিম
পাতার গাছ হালকা পাটাতে পিসে যদি কেউ মুখে লাগিয়ে রাখে তার মুখের
কালো দাগ দূর হয়ে যায়
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য নিমপাতা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ
নিমপাতা গাছের একটু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যাদের
ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য এই নিমপাতা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই
নিমপাতা ডায়াবেটিস রোগীর শর্করা কমাতে সাহায্য করে ডায়াবেটিস কম বেশি
হয়ে গেলে তাপমাত্রামাত্রা বেড়ে গেলে এটি সাহায্য করে নিয়ন্ত্রণে এই
নিম পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বড় একটি উপকারী পাতা
নিম পাতার রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে জেনে নেই
নিম পাতাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক যা কোন রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা করতে প্রচুর সাহায্য করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু থাকলে তা নিমপাতা প্রতিরোধ করে কাশি সর্দি বা জ্বর হলে নিমপাতা হালকা করে গরম পানিতে ডুবিয়ে রেখে তা পান করলে শরীর অনেকটাই সুস্থ হয়ে যায় বিভিন্ন রকম রোগ বালাই বা জীবাণু থেকে রক্ষা পায় এই নিম পাতা আমাদের শরীরের রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখে নিম পাতার আরও একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে যদি কারো মুখে এলার্জি বা ব্রণ হয় ব্যবহার করলে দ্রুত সাহায্য করে মুখের ব্রণ থেকে শুরু করে সব ভালো হয়ে যায়
আরো পড়ুন: আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার গুরুত্ব মাস্সআলা সম্পর্কে জেনে নিই
মুখের জন্য নিম পাতা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ
নিমপাতা একটি কার্যকরী পাতা এই নিমপাতা যদি আমরা মুখে ব্যবহার করি আমাদের ত্বক সুন্দর থাকে সাধারণত আমাদের অনেকেরই মুখে ব্রণ থাকে বা কালো দাগ হয়ে থাকে এই মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য আমরা নিমপাতা ব্লেন্ডারে বা পাটায় পিসে একটি বাটিতে সেগুলো নিয়ে একটু লেবু দিয়ে আমরা যদি মুখে লাগিয়ে রাখি ৩০ মিনিট বা ১ ঘন্টার মত তাহলে আমাদের মুখে ব্রণ ও ময়লা দাগ আস্তে আস্তে দূর হয়ে যেতে শুরু করবে এটি শুধু আমরা টানা সাত দিন ব্যবহার করি এটি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী বা আমরা রাতে শোয়ার আগে মুখে লাগিয়ে যদি শুয়ে পড়ি সকালে উঠে মুখ ধুই এবং আমাদের টক অনেক উজ্জ্বল পরিষ্কার দেখায় ।
নিম পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
নিমপাতার অনেক গুণাবলী রয়েছে এটি শরীরের বিভিন্ন রোগ জীবাণু ও
ব্যাকটেরিয়ার সাথে প্রতিরোধ করে তোলে যদি কারো যদি স্বর বা কাশি
হয় বা শরীর যদি দুর্বল হয়ে থাকে এই নিম পাতা দুর্বল প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
শরীরের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখে এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা করে যেমন মুখে
ব্রণ চোখের নিচে কালো দাগ ইত্যাদি
নিম পাতা অতিরিক্ত ব্যবহারে ক্ষতিকর
এটি অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মানুষের মানবদেহে ক্ষতি হতে পারে বিশেষ করে শিশুদের
শুধু বেশি করে ব্যবহার করানো হয় এতে করে বাচ্চাদের বমি বেশি হতে পারে এবং
এবং বিশেষ করে নিম তেলের ব্যবহার অতিরিক্তভাবে ব্যবহার করা যাবে না
এতেত্বকের ক্ষতি হতে পারে ।
হার্টের রোগীর জন্য নিম পাতা খাওয়াকতটুকু গুরুত্বপূর্ণ
হার্টের রোগীদের জন্য নিমপাতার রস খাওয়া খুবই উপকার এটি হার্ড ভালো রাখে এবং
শরীরকে ভালো রাখে তার থেকেও বড় কথা হলো পাকস্থলী এটি হচ্ছে ভালো রাখে কোন
হার্টের রোগী অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বুকের সমস্যা হলে নিমপাতার রস একটু হালকা গরম
পানিতে ভিজিয়ে রেখে পাঁচ থেকে দশ মিনিট পর পানি পান করলে
হার্টের রোগের জন্য এটা অনেক ভালো হয়ে থাকে শরীরের কোন উপকার হয়
নিম পাতা চুলকানির ব্যবহার
আমাদের দেশে অধিকাংশই ছোট বড় লোক রয়েছে যাদের অনেকের গায়ে চুলকানি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমরা তেল ব্যবহার করতে পারি এই তেল আমরা নিজেরাও বাসায় বানাতে পারি আবার বাজার থেকেও কিনতে পারি যাদের অতিরিক্ত চুলকানি রয়েছে তারা এই তেল নিয়মিত দুইবার ব্যবহার করতে পারবেন বেশি তেল ব্যবহার করলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হতে পারে তাই আমাদের মধ্যে বেশি না ব্যবহার করাই ভালো
নিম পাতার গাছ নিয়ে আমাদের শেষ কথা
আজকে আমরা য যে আর্টিকে নিয়ে আলোচনা করলাম নিম পাতার উপকার ও অপকারিতা নিয়ে আশা করি আমাদের আটিকের আপনাদের ভালো ভালো উপকারে এসেছে আমরা নিয়মিত চেষ্টা করব আপনাদের নতুন নতুন তথ্য দেওয়ার জন্য সবাই ভাল থাকবেন
🧡আসসালামু আলাইকুম
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url